কাদাকনাথ মুরগি/ ব্ল্যাক মিট চিকেন (BMC) এর ১৬টি পুষ্টিগুণ

কাদাকনাথ মুরগি

ব্ল্যাক মিট চিকেন (BMC) মানবদেহে ১৬ টি উপকার করে।এ জাতের মুরগি বলতে কাদাকনাথ,সিল্কি ও আইয়াম সিমানি জাতের মুরগিকে বুঝায়।

মানবদেহে ‘ ব্ল্যাক মিট চিকেন( BMC)’ এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো —

সুস্থ জীবন যাপন মানব জীবনের জন্য অপরিহার্য।সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনেকগুলো বিষয়ে নজর দিতে হয় তারমধ্যে অন্যতম হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস ।তবে যে যার মতো করে এ সঠিক পদ্ধতি বেচে নিতে পারে।যে কেউ মাংস ,সব্জি,ফল ভালো মনে করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।এমনকি ব্ল্যাক মিট চিকেনকে খাদ্য তালিকার শীর্ষে রাখা যেতে পারে।এই ব্ল্যাক মিট চিকেন বলতে কাদাকনাথ মুরগি,আইয়াম সিমানি ও সিল্কি জাতের মুরগির মাংসকেই বুঝায়।এ জাতের মুরগির মাংস ,হাড়,চামড়া ,নার্ভ ও ভিসেরা সহ সবকিছুই কালো।

ব্ল্যাক চিকেনের মধ্যে কাদাকনাথ (Kadaknath),সিল্কি (Silkie) ও আইয়াম সিমানি (Ayyam Cemani Chicken) যার ভারত ,চীন ও ইন্দোনেশিয়া হলো আদি আবাসস্থল ।এ সব দেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্ল্যাক চিকেনের মাংস ,রক্ত ও ডিম মেডিসিনাল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।

ব্ল্যাক মিট চিকেন শুধুমাত্র মেডিসিনাল উদ্দেশ্যেই@poultpoult ব্যবহার হয় না মাংসের রান্নার ধরনের উপর ভিত্তি করে আমেরিকার জনগনের খাদ্য তালিকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।শুধুমাত্র স্বাস্থ্যপ্রদ উপকারিতার জন্যই ব্ল্যাক মুরগি সাধারণ মুরগি থেকে ভিন্ন ।যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো —

১। এন্টিঅক্সিডেন্টের উৎস হিসেবে কাজ করে ( Act as a source of Antioxidants ) : –
ব্ল্যাক মিট চিকেন (BMC) -এ স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ও উপকারী এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।এ এন্টিঅক্সিডেন্টের নাম কারনোসিন (Carnosine ) ।এ জাতীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট মানবদেহে ব্যথা বিরোধী কাজকরে এবং মানবদেহে ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও মানবদেহে কতিপয় স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগ কমাতে সাহায্য করে।

২। দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় ভূমিকা রাখে ( Protects eyesight) :-
ব্ল্যাক চিকেন মাংসে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় মানবদেহকে আরো অধিক কর্মক্ষম করতে উপকারী ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।তার মধ্যে মানুষের দৃষ্টি শক্তিকে রক্ষা করা অন্যতম একটি কাজ।বিশেষ করে বয়স্ক মানুষকে মেকিউলার ডিজেনারেশনের (Macular degeneration ) ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে ।

প্রকৃতপক্ষে, ব্ল্যাক মিট মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে আরো অধিক কর্মক্ষম রাখতে উপকারী ভূমিকা রাখে ।মানুষের চোখের দৃষ্টিশক্তি সুস্থ রাখতে অনেকের উপদেশ ,যে সমস্ত সবুজ সব্জি ও পাকা ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন -‘ এ’ (Vitamin – A ) রয়েছে সেগুলো খাওয়ার জন্য।

অতএব, ব্ল্যাক মিট ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান যেগুলো মানুষের চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকার করে এমন খাদ্যগ্রহণ করলে জীবনের গতি আরো ছন্দময় হবে।

৩। প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে ( Act as a source of Protein ) : –
ব্ল্যাক মিট চিকেনে যে অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে এবং মানবদেহের উন্নতি সাধনে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা আমরা অস্বীকার করতে পারিনা।এই লক্ষ্যে বলা যায় যে ,ব্ল্যাক মিট চিকেন প্রোটিনের জন্য ভালো উৎস।দেখা গেছে ব্ল্যাক মিট চিকেনে অন্যান্য যে কোন পাখির মাংস থেকে তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।

শুধু তাই নয় , প্রোটিন রক্তে সুগার লেভেলকে সুস্থিত করতে সহায়তা করে এবং ব্ল্যাক মিট চিকেন মাংস গ্রহণে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয় ।

৪। যৎসমান্য ক্লোস্টেরল মাত্রা ( Low in Cholesterol levels ) :-
অনেকেই খাদ্য গ্রহণে বর্তমান সময়ে যথেষ্ট সচেতন।খাদ্য গ্রহণের পূর্বে উচ্চ মাত্রার ক্লোস্টেরলযুক্ত খাদ্য এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করে।এমতাবস্থায় ,ব্ল্যাক মিট চিকেন যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ।কারণ এটি অনস্বীকার্য যে, ব্ল্যাক চিকেনে ক্লোস্টেরলের মাত্রা অন্য যে কোনো পাখির সাদা মাংস থেকে তুলনামূলকভাবে সর্ব নিম্ন পর্যায়ে ।তাই স্বাভাবিকভাবেই ব্ল্যাক মিট গ্রহণে কোনো চিন্তা নেই।স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ক্লোস্টেরলের ভয়ে যদি কেউ মাংস গ্রহণে অনিচ্ছুক তবে তিনি অনায়াসে ও নিঃসেন্দহে ব্ল্যাক মিট গ্রহণ করতে পারেন ।

৫। ভিটামিন -বি এর উৎস ( Source of Vitamin -B ) :
প্রকৃতপক্ষে, ব্ল্যাক মিটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন -বি (Vitamin -B ) থাকে ।ব্ল্যাক মাংসে ভিটামিন বি১,ভিটামিন বি২ ,ভিটামিন বি ৬ ও ভিটামিন বি১২ আছে যা মানবদেহের মেটাবলিজমে ভূমিকা রাখে।অধিকন্তু, এ ব্ল্যাক মিট দেহের কার্যকারিতাকে ত্বরান্বিত করে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ।

৬। ভিটামিন ই এর উৎস ( Source of Vitamin E ) :-
ব্ল্যাক মিট চিকেনে পর্যাপ্তমাত্রায় ভিটামিন ই ( Vitamin E ) রয়েছে।ভিটামিন ই দেহের রক্তকে বিশুদ্ধ ও সুস্থ রাখে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করে ।ফলে হৃদপিণ্ডের করোনারি আর্টারিকে ব্যধিমুক্ত রাখে এবং ঝুকি কমায় ও হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে ।
অধিকন্তু, ভিটামিন ই দেহের সর্বত্র রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং দেহের স্কিনকে সতেজ ও সুস্থ রাখে।

৭। আয়রনের উৎস ( Source of Iron ) : –
ব্ল্যাক মিটে অন্যান্য পুষ্টির পাশাপাশি আয়রন বিদ্যমান রয়েছে ।আয়রন মানবদেহের দৈহিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।রক্তে আয়রন বিদ্যমান থাকলে মানবদেহকে এনিমিয়ার ( anaemia ) ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে ।ব্ল্যাক মিট রক্তে হিমোগ্লোবিন (Haemoglobin ) উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।অবশ্য আয়রন মানবদেহে মাংসপেশী গঠনেও সাহায্য করে ।দেহের রক্তে আয়রনের ঘাটতি হলে এনিমিয়া (anaemia ) বা রক্ত স্বল্পতা দেখা দিবে এবং দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক ক্লান্তিভাব ( Chronic fatigue ) থাকবে ।

৮। ফসফরাসের উৎস ( Act as a source of Phosphorus ) : –
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ফসফরাস (Phosphorus ) যা ব্ল্যাক মিটে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।ইহা এমন এক ধরণের খনিজ উপাদান যার কার্যকারিতা নানামুখী।ইহা দেহের হাড় গঠনে ও হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে।মেটাবলিজমে ফসফরাসের ভূমিকা অপরিহার্য।তাই ফসফরাসের অভাব দূরীকরণে ব্ল্যাক মিট চিকেন নিয়মিত গ্রহণ করা যেতে পারে ।

৯। ক্যালসিয়ামের উৎস ( Act as a source of Calcium ) : –
চমকপ্রদ যে , ব্ল্যাক মিটে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি বিস্ময়কর ।মানবদেহের হাড়ের গঠন হাড়কে মজবুত করতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিসীম।ক্যালসিয়াম হলো খনিজ উপাদানের মধ্যে অন্যতম একটি পুষ্টি উপাদান ।এ খনিজ উপাদানের ঘাটতি হলে হাড়ের রোগ বিশেষ করে অসটিওপোরোসিস ( Osteoporosis ) নামক রোগ দেখা দেয় ।তাই এ ধরণের রোগের ঝুঁকি এড়াতে ব্ল্যাক মিট চিকেন ভূমিকা রাখবে ।

১০। এমাইনো এসিডের উৎস ( Act as a source of Amino acids ) : –
ব্ল্যাক মিট মানবদেহকে বিস্ময়করভাবে সুস্থ রাখতে সামর্থ্য রাখে ।প্রকৃতপক্ষে, ব্ল্যাক মিট অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডের অন্যতম একটি উৎস ।যারফলে এমাইনোএসিড মাংস পেশীর উৎকর্ষ সাধন করে এবং এর সুফল সবার জানা ।এছাড়াও ব্ল্যাক মিট মাংস পেশী তৈরিতে ভূমিকা রাখে। অধিকন্তু , ব্ল্যাক মিট রক্তনালীর নমনীয়তা নিয়ন্ত্রণ করে।বলা যেতে পারে ব্ল্যাক চিকেনে অবস্থিত পরিপূর্ণ মূল্যবান পুষ্টি গ্রহণে দেহ পরিপুষ্ট হয় এবং দেহ আরো সতেজ ও বলিষ্ঠ হয় ।

১১। দৈহিক শক্তির উন্নতি সাধন করে ( Boosts energy ) : –
পূর্বেই বর্ননা করা হয়েছে যে , ব্ল্যাক চিকেনে পর্যাপ্তমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে ।এই পুষ্টি উপাদান দেহের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী উপাদান যা দেহে অতিরিক্ত শক্তি যোগায় ।মোটের উপর , ব্ল্যাক মিটে অবস্থিত খনিজ উপাদান ও এমাইনোএসিড দেহে শক্তি যোগায় ।তাই ব্ল্যাক মিট গ্রহণ করলে শরীরে booster energy নিশ্চিত হয় ।

১২। হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে ব্ল্যাক মিট ( Black meat promotes heart health ) : –
ব্ল্যাক চিকেনে আয়রন ও অন্যান্য উপকারী খনিজ উপাদান থাকায় ইহা হৃদপিণ্ডকে (heart) সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।আয়রন ও খনিজ উপাদান সমূহ একত্রে মিলে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করায় হৃদরোগের ঝুঁকি বিশেষ করে হার্ট এটাক (heart attack and stroke ) ও স্ট্রোক সমস্যা কমে যায়।শুধু তাই নয়, ব্ল্যাক মিটে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় দেহের ব্যথা ( inflammation ) কমে যায় এবং হৃদরোগ সংশ্লিষ্ট যে কোন ধরনের প্রদাহ ( inflammation ) বহুলাংশে হ্রাস পায় ।

১৩। নারীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে ( Promotes women health ) : –
ব্ল্যাক মিট চিকেন ভ্যারাইটির মধ্যে কাদাকনাথ মুরগি মাংস ও ডিম নারীস্বাস্থ সুরক্ষায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে ।এই ক্ষেত্রে , কাদাকনাথ মুরগি নারীস্বাস্থের নিয়মিত রজস্রাব চক্র ( menstruation cycle ) নারীদেহে উর্বরতা ( fertility ) উন্নত রাখতে সহায়তা করে । প্রকৃতপক্ষে, কাদাকনাথ মুরগির মাংস নারীস্বাস্থ্যের জন্য খুবই মূল্যবান ও উপকারী বিশেষ করে যেসব নারী স্বাভাবিক পুনর্জননে( women who want to have the healthy reproduction) আগ্রহী ।

১৪। কামোদ্দীপক হিসেবে কাজ করে (Acts as a Aphrodisiac ) : –
ব্ল্যাক মুরগির মধ্যে কাদাকনাথ ভ্যারাইটির মুরগি মানবস্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী ।কাদাকনাথ মুরগির মাংসে উপকারী কামোদ্দীপক( Aphrodisiac) বস্তু বিশেষ করে সিলডেনাফিল সাইট্রেট (Sildenafil citrate ) রয়েছে ।এক্ষেত্রে ,কাদাকনাথ মুরগির মাংস গ্রহণ করলে মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন ( blood circulation )বৃদ্ধি করে যৌনাকাঙ্খা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।

১৫। মাথা ব্যথাজনিত চিকিৎসায় ( Treats Headaches) : –
যদি কেউ মাথা ব্যথা কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা অনুভূত হয় তবে স্বাভাবিক উপশমের জন্য তিনি চা (drinking of tea ) পান করা পছন্দ করতে পারেন ।প্রকৃতপক্ষে, চা এর মধ্যে বেশ ভালো মানের এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি রয়েছে ।এর জন্যই মানুষের মধ্যে চা পানের জনপ্রিয় অভ্যাস গড়ে ওঠে ।ঠিক চা পান করার মতোই , ব্ল্যাক মিট একই পদ্ধতিতে মাথা ব্যথা সমস্যায় সাহায্য করে ।ফলে , স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্ল্যাক চিকেন মাংস ও ডিম গ্রহণ করলে মাথা ব্যথায় সুফল উপকারীতা পাওয়া যায় ।তাই নিয়মিত ব্ল্যাক মুরগির ডিম ভক্ষণ করলে মাথা ঘোরা ( reduce the dizziness) রোগ কমে যায়।

৬। হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় ( Treats Asthma ) : –
ব্ল্যাক চিকেনের ডিম শুধুমাত্র মাথা ব্যথা ( Headaches) বা মাথা ঘোরা ( dizziness ) চিকিৎসায় উপকার করে না এটি ভক্ষণে হাঁপানি (Asthma ) রোগের চিকিৎসাতেও সুফল দেয় ।তাই ব্ল্যাক চিকেনের মিট ও ডিম ( meat and eggs of black chicken ) সুস্থ্য জীবন যাপনের জন্য মানবদেহে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।

অতএব ,পরিশেষে বলা যেতেই পারে ব্ল্যাক চিকেনের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকায় দেহের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় ।ব্ল্যাক চিকেন একধরনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য যা অনায়াসেই নিঃসন্দেহে ,নিঃসংকোচ চিত্তে গ্রহণ করা যেতে পারে।তাই ব্ল্যাক মিট চিকেন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত @poultpoult করতে পারলে জীবন আরো গতিশীল ও ছন্দময় হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।

ডা.বলরাম কুমার রায়
জেলা ভেটেরিনারি সার্জন
জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল , নরসিংদী।
মোবাইল : ০১৭১১২৪০৭৭৪
E mail : baloramkumarroydr@gmail.com