আইয়াম সিমানি জাতের মুরগি/কালো জাতের মুরগি

আইয়াম সিমানি ( Ayyam Cemani ) : –

ইন্দোনেশিয়ায় আইয়াম সিমানি (Ayyam Cemani) একটি বিরল জাতের মুরগি। তবে তুলনামূলকভাবে এটি একটি আধুনিক জাতের মুরগি। এ জাতের মুরগির মধ্যে কর্তৃত্ববিস্তারকারী জীন (gene) রয়েছে। যার কারণে এ জাতের মুরগিতে হাইপারপিগমেন্টেশন (Hyperpigmentation) বা ফাইব্রোমেলানোসিস (Fibromelanosis) এর আধিক্য থাকায় পুরো মুরগিই দেখতে কালো রঙের। বিশেষ করে পালক,ঠোঁট ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (Internal Organs) সমূহও কালো রঙের।

এ জাতের মুরগির আদি নিবাস – ইন্দোনেশিয়া,ভারত।
দৈহিক ওজন: পুরুষ মুরগি ——————২ থেকে ৩ কেজি।
স্ত্রী মুরগি ——————————— ১.৫ থেকে ২ কেজি।

চামড়ার রঙ —————————– কালো
বাৎসরিক ডিম উৎপাদন —————— ৮০ টি
ডিমের ওজন ———————— —গড়ে ৪৫ গ্রাম
ডিমের রঙ ———————— —–হালকা সাদাটে
ঝুটির ধরণ (comb type) —————-একটি (Single)

প্রজাতি (Species) ———————–গ্যালাস গ্যালাস ডোমেস্টিকাস (Gallus gallus domesticus) ।

আইয়াম সিমানি শব্দের উৎপত্তি ও ইতিহাস ( Elymology of Ayyam Cemani) : –

ইন্দোনেশিয়ায় ‘ আইয়াম (Ayyam) ‘শব্দের অর্থ চিকেন (Chicken), সিমানি (Cemani) শব্দটি এসেছে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ( Java) দ্বীপপুঞ্জ (Islands) থেকে। যেখানে এ জাতের মুরগির মূল উৎস ( Origin)।

আইয়াম সিমানি মুরগির আদি নিবাস ( Main Origin of Ayyam Cemani Chicken) : —

এ জাতের মুরগির আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপপুঞ্জ ( অবশ্য কাদাকনাথ মুরগি দেখা যায় ভারতের ডানটেওয়াডা নামক স্থানে) এবং ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় খুব সম্ভবত শত বৎসর ধরে আইয়াম সিমানি জাতের মুরগি ধর্মীয় কাজে ও আধ্যাত্মিকভাবে ঈশ্বরের সান্নিধ্য পাওয়ার মোক্ষম উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এ ব্রিড সম্পর্কে সর্বপ্রথম ডাচ ঔপনিবেশিক ( Duch Colonial) কর্তৃক জানা যায় এবং ডাচ ব্রিডার Jan Steverink কর্তৃক সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে ইউরোপে আমদানি করা হয়। অতি সাম্প্রতিককালে এ জাতের মুরগি নেদারল্যান্ডস, জার্মানি,স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভাবনার বিষয় যে, আইয়াম সিমানি জাতের মুরগি প্রথম ডাচ নৌ কর্মী (Duch seamen) কর্তৃক ইউরোপে নিয়ে আসা হয়।

আইয়াম সিমানি মুরগির বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of Ayyam Cemani Chicken) : –

আইয়াম সিমানি জাতের মুরগির ঠোঁট ও জিহ্বা,কালো ঝুটি ও ওয়াটল এমনকি তাদের মাংস,হাড় এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ( Internal organs) সবকিছুই দেখতে কালো রঙের। তবে আইয়াম সিমানি জাতের মুরগির রক্ত দেখতে স্বাভাবিক রক্তের মতোই।

জীনগত কারণে আইয়াম সিমানি জাতের মুরগি সাধারণত কালো রঙের হয়ে থাকে। এ ধরণের জীন সাধারণত অন্যান্য ব্ল্যাক জাতের পাখি বিশেষ করে কাদাকনাথ ও সিল্কি জাতের মুরগিতেও বিদ্যমান।

রোস্টার মুরগির দৈহিক ওজন ২ থেকে ২.৫ কেজি এবং
স্ত্রী মুরগির দৈহিক ওজন ১.৫ থেকে ২ কেজি।কাদাকনাথ মুরগির মতোই এ জাতের মুরগির ডিমে তা দেওয়ার প্রবণতা খুবই কম। প্রতিটি ডিমের গড় ওজন ৪৫ গ্রাম।