কবুতর পালন করে লাখপতি হওয়ার স্বপ্নপূরণ

শহর থেকে অনেক দূরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরে কবুতর পালন করে লাখপতি হয়েছেন ছালেহ আহমেদ। শিক্ষিত বেকার হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেয়ে কিছু একটা করার উদ্দেশ্যেই কবুতর পালন শুরু করেন। পাচ জোড়া কবুতর থেকে এখন প্রায় আট শতাধিক কবুতর আছে যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা।

শখের বশে শুরু করলেও কিছুদিনের মধ্যেই পেশা হিসেবে সফলতা পেতে শুরু করেন সীতাকুণ্ড পৌর সদরের শিক্ষিত বেকার যুবক ছালেহ আহমেদ। অল্প কিছু টাকা দিয়ে মাত্র পাঁচ জোড়া কবুতর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এই পাঁচ জোড়া কবুতর যে তাকে অর্থনৈতিক সফলতা এনে দেবে তা হয়তো ভাবেননি কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার বুঝতে বাকি রইলোনা। তাই ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করতে থাকলেন। একে একে তার কবুতর এর সংখ্যা বাড়তে থাকলো। যার ফলশ্রুতিতে তিনি এখন এলাকার যুবক বেকার ও অন্যান্যদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। এখন অনেকেই ছালেহ আহমেদের সফলতা দেখে কবুতর পালন শুরু করেছেন। আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই দেখতে চলে আসেন তার খামার পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে।

শখের কবুতর পালন এখন পেশা নয় নেশাতে পরিনত হয়েছে ছালেহ আহমেদের কাছে। নিত্যনতুন কবুতর সংগ্রহ করে তাদের বংশবৃদ্ধি করেই চলছেন তিনি। তার খামারে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে যাদের মধ্যে গিরিবাজ, সিরাজি, বিউটি হুমার, হুমা, কিং, লক্ষা, পিজ, ময়ূরী ও সিল্কি অন্যতম। হরেক রকমের জাতেরই কবুতর রয়েছে আর এই জাত ভেদে দামের তারতম্য আছে। জোড়া প্রায় ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া গেছে এই খামারে।

প্রত্যেক বছরে ছালেহ আহমেদ প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জোড়া কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করতে সক্ষম এবং দিন দিন তা আরো বাড়ছে। এই খামারকে ঘিরে ছালেহ আহমেদের এখন নানান পরিকল্পনা রয়েছে, খামারটিকে আরো কীভাবে আধুনিক এবং বড় করা যায় তা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন হারুনুর রশিদ বলেন আমাদের দেশে কবুতর পালন উপযোগী পরিবেশ রয়েছে একটু চেষ্টা করলেই যে কেউ ছোট পরিসর থেকে বড় পরিসরে খামার দিতে পারেন। এ ব্যপারে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যে ভেটেরিনারি আছেন তার সাথে যোগাযগ ও করা যেতে পারে।