হাঁসের খামার কিভাবে শুরু করবেন

হাঁসের খামার কিভাবে শুরু করবেন (How to start Duck Farming) ?

হাঁস পালন নিঃসন্দেহে লাভজনক পেশা । খামার পদ্ধতিতে হাঁস পালন করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন এমন উদাহরণ দেশে অনেক রয়েছে । কিন্তু কিভাবে হাঁসের খামার শুরু করবেন তা’ অবশ্যই জানা দরকার। বিশেষ করে হাঁসের উন্নত জাত , হাঁসের বাসস্থান , হাঁসের খাদ্য ,হাঁসের রোগ , হাঁসের খামার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সঠিক ধারণা , হাঁসের খামারে আলোকদান কর্মসূচি , উত্তম পয়োঃনিস্কাশন ব্যবস্থাপনা , খামারে সঠিক বায়ু প্রবাহ ব্যবস্থাপনা , হাঁসের বয়স ভেদে জায়গা বরাদ্দ ইত্যাদি বিষয়ে অবশ্যই ধারনা থাকতে হবে । হাঁসের খামার
ডিমের জন্য অথবা মাংসের জন্য করবেন তা’ আগে ঠিক করে নিতে হবে।

নিম্নে ডিমপাড়া হাঁসের খামারের একটি নমুনা তুলে ধরা হলো –

ডিমপাড়া হাঁসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট (Characteristics of laying Ducks) –

প্রচুর পরিমানে ডিম উৎপাদনের জন্য হাঁস অন্যতম পাখি (Ducks are prolific layer Birds)  । হাঁস ডিম পাড়ার দিক থেকে মুরগির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে । ডিমপাড়া হাঁসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট সমূহ নিম্নরূপ –

ক) ডিমপাড়া হাঁসের দেহ ভঙ্গিমা সোঁজা (Upright carriage) ও দেহের ওজন হালকা হতে হবে।

খ) ডিমপাড়া হাঁসের মাথা ও গলা (Head and neck) উল্লেখযোগ্য ভাবে উৎকর্ষসাধিত ও চর্বিহীন হতে হবে (noticeably refined and leaner) ।

গ) ডিমপাড়া হাঁসের বক্ষদেশ পুরোপুরি প্রশস্ত হতে হবে।

ঘ) ডিমপাড়া হাঁসের পা হতে হবে প্রশস্ত (The legs are wide apart) ।

বাণিজ্যিক ডুবুরী জাতীয় হাঁসের ধরণ (Types of commercial Duckery) –

উদ্দেশ্য অনুযায়ী বাণিজ্যিক দু’ধরণের ডুবুরী হাঁস পালন করা হয় (The commercial Duckery are of two types according to purposes they are reared) –

ক) ডিমের জন্য (Laying type or egg type) ,

খ) মাংসের জন্য (Table type or meat type) ।

ক) ডিমের জন্য ( laying type or egg type ) : —

ডিমের জন্য অর্থাৎ Egg type হাঁসের মধ্যে খাকী ক্যাম্পবেল (Khaki Campbell)  ও ইন্ডিয়ান রানার  (Indian Runner) জাতের হাঁস পালন করা হয় । ডিমের জন্য এজাতের হাঁসই সেরা জাত । এজাতের হাঁস বৎসরে ৩০০ টির বেশি ডিম দিতে সক্ষম যদি তাদের যথাযথভাবে পরিচর্যা ও মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ করা হয়।

খ) মাংসের জন্য
(
Table type or meat type)  :–মাংসের জন্য অর্থাৎ
Meat type হাঁসের মধ্যে রোয়েন (Rouen) , মাসকোভি (Muscovy) ও আইলেসবারী
(Ayelesbury) জাতের হাঁস সেরা জাত ।  তাই এজাতীয় হাঁসের ব্রীড মূলতঃ
মাংস উৎপাদনের নিমিত্তেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন করা হয় । এ জাতের হাঁসের বাচ্চা (Duckling) দ্রুত বর্ধনশীল । Table type or meat type  জাতের হাঁসের মাংস নরম , কোমল ও ব্রেস্ট হাড় নমনীয় (Meat are soft , smooth , textured and flexible breast bone) । বর্তমানে এ জাতের হাঁস পালনের ক্ষেত্র
বা সম্ভাবনা দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে । এ জাতের হাঁসের মাংস গুণে ও মানে সেরা । মাংস রসালো ,আকর্ষণীয় ও লোভনীয় স্বাদযুক্ত গন্ধ (Well flavoured) । সম্পূর্নরূপে  নিবিড় পরিচর্যা পদ্ধতিতে (Complete intensive system) এ জাতের হাঁস অতি সহজে পালন করা সম্ভব।

হাঁস পালন পদ্ধতি  (System of Duck Farming) : —

সাধারণত দু’ ধরণের পদ্ধতিতে হাঁসের খামার করা হয় । মুক্তভাবে পালন পদ্ধতি ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ।

১। মুক্তভাবে পালন পদ্ধতি (Free range system) : —

এ পদ্ধতিতে সাধারণত ছোট ও স্বল্প আয়ের খামারি যারা বেশি পুজি বিনিয়োগ করার মতো সক্ষমতা নেই তারাই স্বল্প সংখ্যক হাঁস এ পদ্ধতিতে পালন করে থাকেন । এ পদ্ধতি অতি পুরানো হলেও এখনো তা’ সকল সাধাণর হাঁস খামারির কাছে অতি জনপ্রিয় ও সমাদৃত । এ পদ্ধতিতে হাঁসকে বেশি খাদ্য সরবরাহ দিতে হয় না। কারণ এ পদ্ধতিতে হাঁস নিজেই নিজের খাদ্য সংগ্রহ করে । তাই এ পদ্ধতিতে হাঁস পালন আর্থিকভাবে সুবিধাজনক ও কম ব্যয়বহুল । খাকী ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার জাতের হাঁস এ পদ্ধতির জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত । মুক্তভাবে হাঁস পালনে আর্থিক সাশ্রয় হয় । কিন্তু এ পদ্ধতিতে হাঁস পালন করলে বেশি জায়গা ও জলাশয়ের প্রয়োজন হয় । হাঁসেনর বাচ্চা  (Duckling) জন্মের ৩ সপ্তাহ পরে মুক্তভাবে পালনের জন্য অনুমোদন করা যেতে পারে । কারণ হাঁসের বাচ্চা জন্মের ৩ সপ্তাহ বয়সের পূর্বে জলাশয়ে ছেড়ে দিলে পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে । বেশি কম বয়সের বাচ্চা সাধারণত পানিতে সাঁতার কাঁটতে অভ্যস্ত নয় ও পানিতে ছেড়ে দিলে বাচ্চার পালক পানি দ্বারা ভিজে গিয়ে কম বয়সের বাচ্চা হাঁস (Duckling)  দূর্বল হতে পারে ।

২। নিবিড় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি  (Intensive system) : —

এ ধরণের পদ্ধতি সাধারণত আমেরিকা ও ইন্দোনেশিয়ায় অধিক জনপ্রিয় ।  এ পদ্ধতিতে ছোট খোঁয়ারে (Small
pen)
আবদ্ধভাবে হাঁস পালন করা হয়ে থাকে । এতে হাঁসের জন্য ছোট পরিসরে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করতে হবে যেখানে সারাদিন ব্যাপী পরিস্কার পানি জমানোর ব্যবস্থা থাকে । প্রতিটি খোঁয়ারে (Pen) ৬ টি স্ত্রী
হাঁস (Ducks) ও ২ টি পুরুষ হাঁস (Drakes) একত্রে রাখতে হবে। মুরগির ন্যায় হাঁসও খাঁচা পদ্ধতিতে পালন করা যেতে পারে । তবে হাঁসের জন্য পানির আধাঁরের ব্যবস্থা না থাকলে হাঁস পালন করা সম্ভব নয় । কারণ হাঁসের জন্য পানিতে চোখ ডুবিয়ে গোসলের ব্যবস্থা করতেই হবে । চোখ ডুবিয়ে গোসলের ব্যবস্থা না থাকলে চোখে রোগ দেখা দিবে ও হাঁসের মাথা ফলে যাবে। ১৬ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত প্রতিটি হাঁসের জন্য ৩ বর্গফুট জায়গা
বরাদ্দ দিতে হবে।

হাঁসের বাসগৃহ (Housing  of Ducks) :–

সত্যিকার অর্থে , হাঁসের জন্য বিশদাকৃতির বাসগৃহের (Elaborate housing)
প্রয়োজন হয় না । বাসগৃহ হাঁসের জন্য তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। হাঁস সাধারণত সারা
বছর জুড়েই দিনে ও রাতে বাসগৃহের বাহিরেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে । কিন্তু রাতের বেলায় হাঁসকে  শিকারী প্রাণীর হাত থেকে রক্ষার জন্য বাসগৃহে আশ্রায়ের দরকার হয় । রাতের বেলায় তাদের জন্য বাসগৃহে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ বায়ু চলাচলের সুব্যবস্থা রাখতেই হবে । অবশ্য লিটার পদ্ধতিতেও হ৯াঁস পালন করা যেতে পারে । অনেক সময় চোরের হাত থেকে হাঁসকে  রক্ষার পাকা শেডের দরকার হয় । হাঁসের বাসগৃহের মেঝে বা ফ্লোর মাটির হলেই ভালো হয় । হাঁসের বাসগৃহে পর্যাপ্ত মাত্রায় পানির পাত্র সরবরাহ করতে হবে । হাঁসকে
সাধারণত ওয়াটার ফাউল (Water Fowl) বলা হয়ে থাকে ।  হাঁস যদিও ওয়াটার ফাউল (Water Fowl) , তারপরেও হাঁসের সবসময়ে সাঁতার কাটাঁর জন্য পানির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু হাঁসের শারীরিক অনুশীলন , স্বাস্থের উন্নয়ন , চোখের সুস্থতা , ঠোট ও পায়ুপথ পরিস্কার এবং পালকের চাকচিক্যতার জন্য পানির প্রয়োজন হয় । হাঁসের মাথা পর্যন্ত পানিতে ডুবাতে যে পরিমাণ পানির দরকার ঠিক সে পরিমাণ গভীরতা হলেই যথেষ্ট । তবে পুরো শরীর পানিতে ডুবানোর দরকার হয় না । হাঁসের মাথা পর্যন্ত পানিতে ডুবানোর ব্যবস্থা না থাকলে হাঁসের চোখে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

হাঁস ৯৫% এর বেশি ডিম পাড়ে সকাল ০৯.০০ ঘটিকার পূর্বেই । তাই হাঁসকে সকাল ০৯.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বাসগৃহে আটকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ডিমপাড়া অবস্থায় প্রতি ৩টি হাঁসের জন্য একটি বাসা  (Nest) সরবরাহ দিতে হবে।

হাঁসের বাসগৃহে অবশ্যই যথাযথভাবে মুক্তবায়ু চলাচলের সুব্যবস্থা থাকতে হবে । সপ্তাহে অন্ততঃপক্ষে একবার হাঁসের বাসগৃহ উপযুক্ত জীবাণুনাশক দ্বারা ধৌত করতে হবে।

ডিপ লিটার পদ্ধতির ক্ষেত্রে , লিটার সর্বদা ঝড়ঝড়ে রাখতে হবে । এক্ষেত্রে শুকনো লিটার কয়েকদিন পর পর পুরনো লিটারের সাথে মেশাতে হবে । তবে লিটার বেশি ভেজা হলে কিংবা কেক আকৃতির হলে তা’ বর্জন করতে হবে । হাঁসের বাসগৃহে সূর্যালোক ও বিশুদ্ধ বায়ু প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে । লিটার নষ্ট হলে তা’ অবশ্যই পরিবর্তন করে নতুন লিটারের ব্যবস্থা করতে হবে ।

নিবিড় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে হাঁস পালন করলে প্রতিটি হাঁসের জন্য প্রয়েজনীয় ফ্লোর স্পেস (Floor space) , ফিডার সেম্পস (Feeder space) , পানির আধাঁরের (Waterer space) জন্য পর্যাপ্ত স্থান সুনিঃশ্চিত করতে হবে  (Under Intensive system Floor space , Feeder space  and Waterer space requirement of Duck) ।

ক্রমিক নং বয়স সপ্তাহে ফ্লোর স্পেস (Floor space)বর্গ ফুট ফ্লোর স্পেস (Floor space)বর্গ ফুট ফিডার স্পেস (Feeder space)
(Linear Inches)
ফিডার স্পেস (Feeder space)
(Linear Inches)
ওয়াটার স্পেস (Water space)
(Linear Inches)
ওয়াটার স্পেস (Water space)
(Linear Inches)
০১ মিট টাইপ এগ টাইপ মিট টাইপ এগ টাইপ মিট টাইপ এগ টাইপ
০২ ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ১.০ ০.৮৫ ২.০ ২.০ ১.০ ১.০
০৩ ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ২.৫ ১.৭৫ ৪.০ ৩.০ ২.০ ১.৫
০৪ ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত ৪.০ ৩.০ ৫.০ ৩.৫ ২.৫ ১.৭৫
০৫ পূর্ণ বয়স্ক ৫.০ ৪.০ ৬.০ ৪.০ ৩.০ ২.০

হাঁসের খাদ্য
(
Feeding of Ducks) : —

হাঁস সর্বগ্রাসী খাদক (Voracious eater) হলেও খুব ভালো মানের খাদ্য অন্বেষণকারী পাখি । মাঠে পড়ে থাকা শস্যদানা , শাকসব্জ্বি , কেঁচো , নানা ধরনের পোকামাকড় , পুকুরে বা জলাশয়ের মাছ , শামুক-ঝিনুক ,জলাশয়ের বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড় , পোনামাছ (Fingerlings) বা যে কোন ধরণের ছোট মাছ ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে নিজে নিজেই সংগ্রহকারী পাখিদের মধ্যে বেশ দক্ষ্য পাখি । এসব খাদ্য গ্রহণের ফলে হাঁসের মাংস ও ডিম ভোজ্য দ্রব্য হিসাবে মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় ।

হাঁসের খাদ্যকে তিন গ্রুপে বিভক্ত করা যেতে পারে  —

১) ড্রাই ম্যাশ (Dry mash) ,

২) ভেজা খাদ্য (Wet mash) ও

৩) পিলেট খাদ্য (Pellet feed) ।

১) ড্রাই ম্যাশ
(
Dry mash feed) :–

ড্রাই ম্যাশ খাদ্য হাঁসের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ হাঁসের শুকনো খাবার গিলতে (Swallowing) সমস্যা হয় ।
ফলে খাদ্য ব্যাপক হারে নষ্ট বা অপচয় হয় ।

২) ভেজা বা আর্দ্র খাদ্য (Wet mash feed) : —

শুকনো খাবার গিলে খাওয়া (Swallowing) হাঁসের জন্য কঠিন । তাই হাঁসের জন্য ভেজা খাদ্য  (Wet
mash feed)উপযুক্ত । হাঁসের জন্য সরবরাহকৃত খাদ্য পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ানো ভালো পদ্ধতি । তাতে সরবরাহকৃত খাদ্যের অপচয় বহুলাংশে কম হয় । জন্মের শুরু থেকেই হাঁসকে শুকনো খাবার খাওয়া অভ্যাস থেকে বিরত রেখে ভেজা খাবার খাওয়া অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাচ্চা হাঁসকে (Duckling) কোন অবস্থাতেই
শুকনো খাবার পরিবেশন করা উচিৎ নয় । কারণ শুকনো খাবার বাচ্চা হাঁস গিলতে না পারলে খাদ্য গলায় আটকে বাচ্চা হাঁস মারা যেতে পারে।

৩) পিলেট খাদ্য
(
Pellet feed) : —

হাঁসের জন্য পিলেট খাদ্য সবচেয়ে বেশি উত্তম খাদ্য । কিন্তু পিলেট খাদ্য
তুলনামূলকভাবে বেশ ব্যায়বহুল । হাঁসের পিলেট খাদ্যের আকার বা সাইজ ৩ – ৫ মিলিমিটার
হওয়া উচিৎ । পিলেট খাদ্যের সুনির্দিস্ট সুবিধা হলো পরিমানে কম লাগে ও পয়োঃনিস্কাশনের
ব্যবস্থা উন্নত থাকে ।

হাঁস প্রতি বছর প্রায় ৫০ -৬০ কেজি খাদ্য গ্রহণ করে । প্রতি ডজন ডিম উৎপাদনে
হাঁসেমর জন্য প্রায় ৩ কেজি খাদ্যের প্রয়োজন হয় এবং ব্রয়লার হাঁস বা মাংস উৎপাদনকারী
হাঁসের জন্য প্রতি কেজি মাংস উৎপাদনে ৩.২২ কেজি খাবারের প্রয়োজন হয় ।

 হাঁসের বয়স ভেদে হাঁসের খাদ্যকে তিন গ্রুপে ভাগ করা
যেতে পারে । যথা –

ক) ষ্টার্টার খাদ্য (Starter feed)  – ০১ দিন বয়স থেকে ০৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত সরবরাহ দেওয়া হয় ,

খ) গ্রোয়ার খাদ্য (Grower feed) – ০৯ সপ্তাহ বয়স থেকে ২০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত সরবরাহ দেওয়া হয় ,

ঘ) লেয়ার / ব্রীডার খাদ্য  (Layer /Breeder feed) – ডিমপাড়া শুরু থেকে খামার থেকে ছাটাইয়ের বয়স পর্যন্ত সরবরাহ দেওয়া হয় ।

তবে বাচ্চা হাঁসের  (Duckling) খাদ্য সরবরাহের জন্য খুব দ্রুতই বাচ্চা ইনকিউবেটর থেকে সরিয়ে নিয়ে ব্রুডারে স্থানান্তর করতে হবে ও জন্মের প্রথম কয়েকদিন হাতে তৈরি খাবার সরবরাহ দিতে হবে এবং সদ্য ডিম থেকে ফুটে বের হওয়া বাচ্চাকে খাবার কাওয়া শিখিয়ে নিতে হবে । পূর্ণ বয়স্ক প্রতিটি ইন্ডিয়ান রানার হাঁস ও খাকী ক্যাম্পবেল হাঁসের জন্য  প্রতিদিন ১৫০ গ্রাম থেকে ১৭০ গ্রাম খাদ্য সরবরাহ নিঃশ্চিত করতে হবে  তা’হলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে ।

                                           হাঁসের খাদ্য ফর্মূলা

                                      (প্রতি ১০০.০০ কেজি খাদ্যে)

ক্রমিক নং খাদ্য উপাদান ষ্টার্টার (Starter)
(০১ দিন -০৮ সপ্তাহ)
%
গ্রোয়ার (Grower)
(০৯ সপ্তাহ-২০
সপ্তাহ পর্যন্ত) %
লেয়ার/ব্রীডার
(Layer/Breeder)
(২১ সপ্তাহ – ছাটাই
পর্যন্ত ) %
০১ ভূট্টা ৩০.০০ ৩০.০০ ৩০.০০
০২ রাইস পলিশ ২০.০০ ২২.৫০ ২৫.০০
০৩ খৈল ২৭.৫০ ২০.০০ ২০.৫০
০৪ ফিস মিল ১০.০০ ০৮.০০ ১০.০০
০৫ রাইস খিন্নি ১০.০০ ১৭.০০ ১০.০০
০৬ ঝিনুক চূর্ণ ০২.০০
০৭ ভিটামিন-মিনারেলস
প্রিমিক্স
০২.৫৩ ০২.৫৩ ০২.৫৩

বিঃ দ্রঃ –এ খাদ্য তালিকায় প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য লবণ বা রক সল্ট , কোলিন ক্লোরাইড ,এনজাইম ও টক্সিন বাইন্ডার সংযুক্ত করা যেতে পারে ।