বাণিজ্যিক লেয়ার মুরগির প্রস্তাবিত টিকাদান কর্মসূচি

বাণিজ্যিক লেয়ার মুরগির প্রস্তাবিত টিকাদান কর্মসূচি
(Suggested Vaccination Programme for Commercial Layer Birds)

মুরগির বয়স ভ্যাকসিনের নাম রোগের নাম মাত্রা ও ব্যবহার
বিধি
দিন-০৪ বিসিআরডিভি/আইভি+এনডি
ক্লোন ভ্যাক.
রাণীক্ষেত রোগ চোখে ড্রপ
দিন-০৭ গামবোরো ভ্যাকসিন
(মাইল্ড টাইপ)
গামবোরো রোগ চোখে ড্রপ
দিন-১০ ঠোটে স্যাক (Beak touch)         –         –
দিন-১৪ গামবোরো ভ্যাকসিন
(ইন্টার মেডিয়েট প্লাস )
গামবোরো রোগ চোখে ড্রপ/ পানিতে
খাওয়ানো
দিন-১৭ মারেক’স ভ্যাকসিন মারেক’স রোগ চামড়ার নীচে ইনজেকশন
দিন-১৯ বিসিআরডিভি /আইবি
+ এনডি ক্লোন ভ্যাক.
রাণীক্ষেত রোগ চোখে ড্রপ /খাবার
পানিতে
দিন-২১/২২ গামবোরো ভ্যাকসিন
(ইন্টার মেডিয়েট প্লাস )
গামবোরো রোগ চোখে ড্রপ / খাবার
পানিতে
দিন-৩৫ ফাউল পক্স ভ্যাকসিন  ফাউল পক্স রোগ মুরগির ডানার নীচে
পলক ও শিরাবিহীন স্থানে সূচের মাধ্যমে খোঁচা প্রয়োগ পদ্ধতি
দিন-৪২/৪৪ ইনফেকশাস কোরাইজা
ভ্যাকসিন
ইনফেকশাস কোরাইজা
রোগ
চামড়ার নীচে ইনজেকশন/
দিন-৫০ কৃমি নাশক প্রয়োগ             –          –
দিন-৫৫ ফাউল পক্স বুস্টার
ডোজ
ফাউল পক্স রোগ একই নিয়মে
দিন-৬০ আরডিভি /- রাণীক্ষেত রোগ মাংস পেশীতে ইনজেকশন
দিন-৬৫ ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন ফাউল কলেরা রোগ প্রস্তুতকারক কোম্পানীর
নির্দেশনা মোতাবেক
দিন-৭০ ঠোট কর্তন (Debeaking)          –        –
দিন-৮০ ইনফেকশাস কোরাইজা
ভ্যাকসিন
ইনফেকশাস কোরাইজা
রোগ
চমেড়ার নীচে ইনজেকশন/-
দিন-৯০ ফাউল কলেরা ভ্যাকসিন ফাউল কলেরা রোগ প্রস্তুতকারক কোম্পানীর
নির্দেশনা মোতাবেক
দিন-১০০ কৃমি নাশক প্রয়োগ            –         –
দিন-১১৯-১২৬ আইবি+এনডি+ইডিএস ইনফেকশাস কোরাইজা,রাণীক্ষেত
রোগ ও এগ ড্রপ সিন্ড্রোম
প্রস্তুতকারক কোম্পানীর
নির্দেশনা মোতাবেক
দিন-১২৫-১৩০ এনডি ল্যাসোটা
ভ্যাকসিন ( লাইভ )
রাণীক্ষেত রোগ খাবার পানিতে প্রয়োগ
দিন-১৪৫-১৫০ কৃমি নাশক          –          –

বিঃদ্রঃ প্রস্তাবিত এই ভ্যাকসিন কর্মসূচীতে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের ভ্যাকসিন সংযোজন করা হয়নি।
এ ভ্যাকসিন বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ একদিন বয়সের বাচ্চায় (Day old chicks)  দিয়ে থাকেন যদি খামারি কোম্পানীকে আনুরোধ করেন। এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের নিয়ম হলো একদিন বয়সের বাচ্চাকে ভ্যাকসিন পয়োগ করা। তারপর টাইটার লেভেল পরীক্ষা করে কয়েক সপ্তাহ পরে পূণ ভ্যাকসিন করা। এছাড়াও একদিন বয়সের বাচ্চাকে মারেক’স রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরে। তাই দেশের স্ব-নামধন্য কোম্পানী সমূহ মারেক’স রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে থাকেন।

কিল্ড ভ্যাকসিনকে (Killed Vaccine) প্রাইমারী ভ্যাকসিন হিসাবে ব্যবহার করা উচিৎ নয়্। শুধুমাত্র লাইভ ভ্যাকসিন (Live Vaccine) প্রাইমারী ভ্যাকসিন হিসাবে ব্যবহার করা হয়।  কিল্ড ভ্যাকসিন শুধুমাত্র বুস্টিং ভ্যাকসিন (Killed Vaccines are used only for Boosting Vaccine; not used  for Primary Vaccine) হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কিল্ড ভ্যাকসিন মুরগির উৎপাদনে আসার পূর্বে ও উৎপাদনের মাঝামাঝি সময়ে ( Killed
Vaccine give prior to start laying period and midway in laying time ) ব্যবহার করতে হয়। ব্রিডার ফ্লোকে রাণীক্ষেত+গামবোরো কিল্ড ভ্যাকসিন অবশ্যই উৎপানে আসার পূর্বে ও উৎপাদনের মাঝামাঝি সময়ে প্রয়োগ করতে হবে। তা’ না হলে বাচ্চা দূর্বল ম্যাটার্নাল ইমিউনিটি নিয়ে জন্মাবে এবং বাচ্চায় সহজে রাণীক্ষেত রোগ ও গামবোরো রোগ দেখা দিবে।

সালমোনেলা রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হলে মুরগির সালমোনেলা রোগের পরীক্ষা করে মুরগিকে সালমোনেলা মুক্ত সাপেক্ষে সালমোনেলা রোগের ভ্যাকসিন করতে হবে। তা’ হলে সালমোনেলা ভ্যাকসিন কার্য্কর হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, এ ভ্যাকসিন কর্মসূচী একটি নমুনামাত্র। মুরগির শারীরিক অবস্থা,খামারের অবস্থা ও সংশ্লিষ্ঠ এলাকার অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানগণ ও পোলট্রি বিশেষজ্ঞগণ সার্বিক অবস্থা বিবেচনা সাপেক্ষে এ ভ্যাকসিন তালিকায় সংযোজন বা বিযোজন করতে পারবেন।

প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ অন্তর অন্তর ডিমপাড়া মুরগিকে কৃমি নাশক প্রয়োগ করতে হবে ও এর ৫-৭ দিন পরে রাণীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। মুরগির দেহে কৃমি থাকলে ভ্যাকসিন ঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে না। তাই প্রতিবার মুরগিকে রাণীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগের ৫-৭ দিন পূর্বে কৃমি নাশক সেবন করাতে হবে।